বেনাপোলে “বিশ্ব মানবাধিকার দিবস”২০২৪ উদযাপন
মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি :-“বিশ্ব মানবাধিকার দিবস” আজ। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। বাংলাদেশে সাংবিধানিক অধিকার তথা মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
‘আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ এখনই’—এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন মানববন্ধন, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা,আইন সহায়তা ফাউন্ডেশন(আসফ),শার্শা উপজেলা কমিটি’র পক্ষ থেকে বেনাপোল বন্দর বাজার এলাকায় র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে নেতৃত্ব দেন- সংগঠনটি’র সভাপতি-মো.আব্দুল ওয়াহেদ দুদু ও সাধারণ সম্পাদক-আব্দুল হামিদ।
কার্যনির্বাহী কমিটি’র সহ-সভাপতি-মো. আব্দুল মালেক,সহ-সভাপতি-অসিম কুমার দে,সাধারণ সম্পাদক-মো. আব্দুল হামিদ,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-মো. আঃ সাত্তার,অর্থ সম্পাদক-মো. আব্দুল মমিন,প্রচার সম্পাদক-মো. শহীদুল ইসলাম শহীদ,
সাংগঠনিক সম্পাদক-জি. এম. ওয়ালী উল্লাহ,দপ্তর সম্পাদক-মোক্তার হোসেন,আইন বিষয়ক সম্পাদক-মো. সাবুর আলী,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক-মো.আ.মান্নান,নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক-মোসা. সকিনা আক্তার,সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক-মোঃ হাবিবুর রহমান,
র্যালি টি বেনাপোল বাজারস্থ আসফ’র অস্থায়ী কার্যালয় হতে শুরু করে বেনাপোল স্থল বন্দরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুণরায় অফিস কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে শাশা উপজেলার “আসফ”র সভাপতি-মো.আব্দুল ওয়াহেদ দুদু এবং সম্পাদক-আব্দুল হামিদ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন,” গত ১৫ বছরে আ.লীগ শাসন আমলে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২ হাজার ৬৯৯ জন। জুলাই-আগষ্ট/২০২৪ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের তালিকা যুক্ত করলে সর্বমোট নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের তথ্যমতে, সামরিক শাসন, একনায়কতন্ত্র, বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া, মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা, জোরপূর্বক মিছিল ভঙ্গ করে দেওয়া, মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়া বা করা, রাজনৈতিক-সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি করা বা পরিস্থিতির কারণে সৃষ্টি হওয়া, সবার সর্বক্ষেত্রে সমানভাবে মানবাধিকার ভোগ করার সুযোগ না পাওয়া, স্বাধীনতা, মুক্তি, অধিকারের সঙ্গে আশা-ভরসা ও মানবতা সমানভাবে গৃহীত না হওয়ার কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়।
গুম,খুনে যাঁরা নিহত হয়েছেন আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি,সময় এসেছে হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় আনার। আইন সহায়তা ফাউন্ডেশন(আসফ) সেই লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে”#