মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি:- নবান্ন শব্দের অর্থ “নতুন অন্ন”। নবান্ন হচ্ছে হেমন্তের প্রাণ। নতুন ধান থেকে তৈরি হবে পিঠা পায়েস, ক্ষীরসহ নানা রকম খাবারে মুখরিত হয়ে ওঠে প্রতিটি ঘর। যশোরের শার্শা উপজেলাও বেনাপোল পৌরসভা সহ পুরোদমে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। কোথাও কোথাও চলছে ধান মাড়াইয়ের ধুম। ইতিমধ্যে ঘরে ঘরে চলছে নবান্ন উৎসবের আয়োজন। আর ক’দিন বাদেই নতুন ধান থেকে পাওয়া চালে শুরু হবে নবান্ন উৎসব। সোনালী ফসল ঘরে ওঠার আনন্দে সোনালী হাসি ফুটেছে কৃষক ও কৃষাণীর মুখে। নবান্ন উৎসব বরণ করতে এখন তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলায়৷ ১১ইউনিয়ানের বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা গেছে ,কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বাতাসে দুলছে। আবার ধান কাটার কাজ চলছে পুরোদমে। স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে কৃষক-কৃষাণীরা কোমর বেঁধে কাজ করছেন। এমনই এক দম্পতির সাথে কথা হয়। তারা জানান, নবান্ন উৎসব মানেই হৃদয়ের বন্ধনকে আরও গাঢ় করার উৎসব। পাকা ধানের সোনালী রঙ দেখে মন ভরে গেছে আনন্দে। নতুন আমন ধান ঘরে তোলার আনন্দে কাজ করছেন তারা। এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি। বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা জানান, নবান্ন উৎসবের আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নতুন ধানের পায়েশ, পিঠা,কুলি পিঠা, ভাপা পিটা, মুট্টা পিটা, রসের পিঠা, পুলি ছাড়াও তৈরি করবেন হরেক রকমের মজাদার খাবার। নবান্ন উৎসবে মেয়ে-জামাইদের শ্বশুরবাড়িতে আগমন ঘটবে।
কায়বা ইউনিয়নের, কৃষক রওশন আলী জানান, নতুন ধান কাটা শেষ। বাড়িতে নেয়ার পরই মাড়াই করা হবে। নতুন ধানের চাল দিয়ে পরিবারে নবান্ন উৎসব করা হবে। আমন ধান মানেই প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজন নিয়ে একসাথে নবান্ন উৎসব করা। একে অপরের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া।
ডিহি ইউনিয়ানের,কৃষক মশিয়ার রহমান জানান, সোনালী ধানের মৌ মৌ গন্ধে মনের আনন্দে কাজ করছেন। আর ক’দিন পরেই নতুন ধান থেকে মজার মজার খাবার তৈরি করা হবে। নবান্ন উৎসবকে ঘিরে রীতিমতো উৎসবের আমেজ বইছে।
শার্শা উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা জানান,এবার চলতি মৌসুমে ভারি বৃষ্টিতে নিম্ন অঞ্চলের ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। উপজেলায় ২১ হাজার ১৪২ হেক্টরে,জমিতে রোপা আমনের চাষাবাদ হয়েছে।বর্তমানে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। নতুন ধান থেকে পাওয়া চাল দিয়ে কৃষক পরিবারের সদস্যরো নবান্ন উৎসবের দিন গুনছেন।#