ন্যাশনাল ব্যাংকে মৌলভীবাজার জেলা শহরের চৌমুহনা শাখায় গ্রাহকের কোন টাকা দিচ্ছে না।
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- ২৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ মৌলভিত্তির শহরস্থ চৌমুহনা শাখায় ন্যাশনাল ব্যাংকে অর্ধশতাধিক গ্রাহক সকাল ১০ ঘঃ থেকে টাকা তুলার জন্য অপেক্ষা করছিল, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদেরকে ব্যাংকে টাকা নেই বলে জানানো হয়। এ-সময় গ্রাহকরা টাকা তুলার জন্য হইচই লাগাশ, তখন বেলা প্রায় ১২.৩০ ঘটিকা।
এ খবর সাংবাদিকরা জানতে পারলে, ব্যাংকের ব্যবস্থাপক অন্যান্য ব্যাংক কর্মকর্তাদেরে রেখে ব্যাংক থেকে অন্যত্র চলে যান। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে গ্রাহকেরা তাদের একাউন্ট নাম্বার থেকে প্রয়োজনীয় টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে কর্মকর্তা দেরকে চাপ সৃষ্টি করেন। ব্যাংকের কর্মকর্তার ব্যাংকে টাকা নাই বলে জানান, ঢাকা হেড অফিস থেকে টাকা না আসলে টাকা দেওয়া সম্ভব হবে না, অপেক্ষায় থাকতে হবে।
গ্রাহকে চলতি হিসাবের টাকা দিতে পারছে না তেমনি গ্রাহকের বিদেশ থেকে আসা টাকাও দিতে পারছে না। টাকা উত্তলন করে কেউ চিকিৎসা খরছ দিবে, কেহ জায়গা খরিদ বা বায়না করবে, একজন গ্রাহক ক্যানসার প্রতিরোধক কেমোথেরাপি দিতে যাবে কিন্তু কোন গ্রাহকে ব্যাংক টাকা দিতে পারছে না।
জানা যায় ন্যাশনাল ব্যাংক মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনা শাখায় বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে গ্রাহকদের চাহিদা মতো টাকা উঠাতে পারছেন না। গত কয়েকদিন ০৫ হাজার টাকা করে দিলেও সপ্তাহ খানেক থেকে গ্রাহকদের ৫/৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। সেই ৫/৩ হাজার টাকাও ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে অনেকে না পেয়ে ফিরে যেতে হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে এস আলম গ্রুপের মত কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ব্যাংক হতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় সারাদেশে ন্যাশনাল ব্যাংক সহ আরও ৮/১০ টি ব্যাংকে টাকা সংকট রয়েছে। প্রথম দিকে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে পারলেও বর্তমানে তা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে টাকার সংকট থাকায় গ্রাহকদের চাহিদা ঠিকমত পূরণ করা যাচ্ছেনা। ব্যাংকের যে শাখায় যতটুকু প্রয়োজন সেটা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে পাচ্ছে না বলে জানা যায়।
উল্লেখিত ব্যাংক সমূহ দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার আতঙ্কে গ্রাহকদের মনে ভয় ভীতি কাজ করছে। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে গ্রাহকদের জমানো টাকা তার চাহিদা মত না তুলতে পারলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিষয়টি মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসকে অবগত করা হলে তিনি দ্রুত বিষয়টি দেখবেন বলে জানান