প্রত্যেকটা নারী কিশোরী বয়স থেকে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। মেয়েরা খেলতে খেলতে সংসারের স্বপ্ন দেখে। বউ সাজবে মা বা শাশুড়ী হবে। শিশু কিশোরীর কলরব ধরনীকে অপরুপ করে তুলে।
এসব কিশোরীর হাস্যজ্জল সুন্দর মুখের হাসি দেশকে ফুলের মতো বাগান বানিয়ে রাখে। সব কিশোরী স্বপ্ন সাজাতে পারেনা। হিংস্র পুরুষের থাবায় স্বপ্ন ভেংগে যায় এমনকি জীবন টাও থাকেনা রক্তাক্ত মৃত লাশ হয়ে ঘরে ফিরে আসে।
নয়তো বাল্যবিবাহ দিয়ে নিজের বাবা মা এদের স্বপ্নকে দাফন করে দেয়। মেয়েটি বেচে থাকে জিন্দা লাশ হয়ে। অনেক নারী অত্যাচার অবিচারে নিজেকে তিলে তিলে মৃত্যুর দার প্রান্তে নিয়ে যায়। আর স্বপ্নগুলো ভেঙে যার কাচের চুরির মতো।
অথচ পরিবারের সচেতনতা সমাজ ব্যাবস্থার। উন্নতি, মাদকমুক্ততা এসব নিয়ত্রন হলেই। আমরা পেতে পারি একটি সুন্দর আগামী।
কিশোরীর প্রানখোলা হাসি ধরনীকে আরও অপরুপ করবে। কাদবে না সন্তান হারা মা। নেশা পুরুস কে হিংস্র করে তুলে। বাবা মায়ের একটি ভূল সিদ্ধান্তে কিশোরীর স্বপ্ন ভেংগে যায়।
একটি নারী প্রথমে মেয়ে পড়ে মা তার পড়ে শাশুড়ী হয়। এদের দায়িত্ব অনেক বেশি এদের যত্ন নিন ।
ধরনীকে অপরুপ করতে নারী সদ্য ফোটা ফুলের ন্যায়। তাই প্রত্যেকে বিবেচিত হোন। নেশাদ্রব্য কেনা বেচা বন্ধ করনে পদক্ষেপ নিন। বাল্যবিবাহ বন্ধ করুন। অত্যাচারীদের ন্যায়বিচার করুন। নারীর হাসিটুকু স্তব্ধ করে দিবেন না। পুরুষ স্বামী, বাবা বা ভাই এভাবে ভাবুন।
আমরা পেরেছিলাম ১৯৭১ এ নারীর ইজ্জত বাচাতে। দেশ মাতাকে বাচাতে তার লাখো সন্তান প্রান দিয়েছিলো। ঝাপিয়ে পরেছিলো। নারী ও প্রেরণা দিয়েছিলো, অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলো। স্মভম হারিয়েছিলো।
ইজ্জত বা প্রানটুকু ও দিয়েছিলো অকাতরে। নারী হয়েছিল বিরংগনা। তার বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীন একটি দেশ। আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, দিলশান আরা অনি