বেনজীর আহমেদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছিল সাতটি। মজার ব্যাপার হল, এই সাতটি পাসপোর্টের কোনটিই সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে করা হয়নি। সবগুলোতেই তিনি বেসরকারি চাকরিজীবী হিসেবে পাসপোর্ট নিয়ে ছিলেন। সর্বশেষ তার যে পাসপোর্ট করা হয়েছিল সেখানে তিনি বেসরকারি চাকরিজীবী হিসেবে পাসপোর্ট নবায়ন করেছিলেন, যেটি তাকে পাসপোর্ট অধিদপ্তর দিয়েছিল, যখন তিনি পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন সেই সময়।
সেই বেনজীর আহমেদের শুধু দেশেই একাধিক পাসপোর্ট নয়, বিদেশেও অন্তত তিনটি দেশের পাসপোর্ট রয়েছে বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ তুরস্ক, পর্তুগাল এবং পাপুয়া নিউগিনির পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন এবং তিনটি পাসপোর্ট তার সঙ্গে রয়েছে। শুধু বেনজীর নয়, তার পরিবারের সদস্যদেরও এই তিনটি দেশের পাসপোর্ট রয়েছে বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য যে, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে এখন পলাতক জীবনযাপন করছেন। তিনি কোথায় অবস্থান করছেন এই সম্পর্কে নানারকম গুঞ্জন থাকলেও এখন মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে তিনি তুরস্কে অবস্থান করছেন।
গত এপ্রিলে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। প্রথমে তিনি সিঙ্গাপুর যান। সেখানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার স্ত্রীর চিকিত্সা করেন। সেখান থেকে বেনজীর আহমেদ লন্ডনে গিয়েছিলেন। লন্ডনে তিনি কয়েকদিন অবস্থানের পর এখন তুরস্কে অবস্থান করছেন।